লঘুচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, লঞ্চ চলাচল বন্ধ
আপলোড সময় :
৩০-০৫-২০২৫ ১০:৩৪:১২ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
৩০-০৫-২০২৫ ১০:৩৪:১২ পূর্বাহ্ন
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বরিশালে টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশাল নদীবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথে সকল ধরনের ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে করে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে কখনও মুষলধারে, কখনও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে বরিশালে। সাথে রয়েছে ঝড়ো হাওয়া, যার গতি সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার এবং সর্বনিম্ন ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের উপ-পরিচালক সেলিম রেজা জানিয়েছেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বরিশাল নদীবন্দরকে ২ নম্বর এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছোট আকারের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সৃষ্ট লঘুচাপটি এখন সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে।
এর প্রভাবে বুধবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে এবং এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে স্কুল ও অফিসগামী মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ভোলা, মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে।
বরিশালের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে, তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের জল অনুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর ১২টি পয়েন্টের মধ্যে ছয়টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য নদীগুলোর পানিও বিপদসীমার কাছাকাছি।
এর মধ্যে বিষখালী নদীর পানি বরগুনা সদর উপজেলা পয়েন্টে তিন সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলা পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে এক সেন্টিমিটার, ভোলা জেলায় মেঘনা নদীর তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে ৬৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর সদর উপজেলার বলেশ্বর নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার, উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ছয়টি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলের অনেক জনপদ পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় প্রশাসন সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স